এবার যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যান হতে পারে টিকটক!

tiktok ban in US techjahaj.com

কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি, ভারত টিকটকসহ ৫৯টি বহুল ব্যবহৃত চাইনীজ অ্যাপ ব্যান করেছে। এবার সে যাত্রায় নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রই এই যাত্রার মুল নায়ক। কেননা ডোনাল্ড ট্রাপ্মের সরকার গতবছরই অনেক চাইনীজ হার্ডওয়্যার ম্যানুফ্রাক্চার কোম্পানিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যান করেছে যাদের ভিতর Huawei এবং ZTE ছিল।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ফক্স নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তারা চাইনীজ সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ যার মধ্যে টিকটকও থাকছে এমন কিছু অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে যাচাই-বাছাই করছে এবং এটা খুব গুরুত্বসহকারেই করা হচ্ছে।

তবে টিকটক বন্ধ করা হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে পম্পেও বলেন, আমরা মূলত যেসব অ্যাপ সুরক্ষা ও গোপনীয়তার নীতিমালা ভঙ্গ করার চেষ্টা করছে সেগুলো বন্ধ করতে চাই। সেখানে টিকটক যে রয়েছে এটা বলা যায়। 

পম্পেও সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলার পর টিকটক তাদের এক বিবৃতির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করছে তারা কোনোভাবেই চীনা সরকারের কাছে বাধ্য নয়। টিকটক তাদের বিবৃতিতে জানায়, তাদের প্রধান নির্বাহী একজন আমেরিকান। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটির নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং গোপনীতা রক্ষার কাজে শতাধিক আমেকিকান প্রকৌশলি কাজ করছে।

টিকটক এটাও বলেছে, ইউজারদের ডেটাগুলোও তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ডেটাসেন্টারে স্টোর করছে, যার ব্যাকঅ্যাপ রয়েছে সিঙ্গাপুর ডেটাসেন্টারে। সবথেকে বড় কথা, তারা কখনোই চীনা সরকারকে ইউজারদের ডেটা হস্তান্তর করেনি এবং চীনা সরকার নিজে থেকে বললেও তারা এটা করবে না।

এছাড়া বিবিসি এক রিপোর্টে বলেছে, হংকংয়ে নতুন নিরাপত্তা আইন জারির পর কয়েকদিনের মধ্যেই টিকটক সেখান থেকে বিদায় হচ্ছে।

সবশেষে আপনাদের কি মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সিদ্ধান্তু কতোটা যুক্তিযুক্ত? সেটা নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

Featured Image Credit: Shutterstock

টেকজাহাজ মডার্ন প্রযুক্তিকে বাংলায় অনুসন্ধান করে। অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ, টেকনিউজ, প্রযুক্তি ব্যাখ্যা, টিউটোরিয়াল, টিপস ইত্যাদি আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।